শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুগন্ধি চাল রপ্তানি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনুমোদন বৃদ্ধি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর আগে এটি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। নতুন এই সময়ে মোট ৫০টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পারবে।

রপ্তানি-২ শাখার একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, অনুমোদিত পরিমাণের বেশি চাল রপ্তানি করা যাবে না। সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১.৬০ মার্কিন ডলার। এছাড়া এই অনুমতি হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান নিজে রপ্তানি না করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাল পাঠাতে পারবে না।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ প্রতিটি রপ্তানিযোগ্য চালের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। জাহাজীকরণ সম্পন্ন হলে সব কাগজপত্র রপ্তানি-২ শাখায় পাঠাতে হবে। পরবর্তী অনুমতির জন্য পূর্ববর্তী রপ্তানির পরিমাণসহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। সরকার প্রয়োজনে যে কোনো সময় রপ্তানি অনুমতি বাতিল করতে পারে।

এর আগে মন্ত্রণালয় ৫২ প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৮০০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া ৮ এপ্রিল ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ১৫০ টন রপ্তানির অনুমোদন প্রদান করা হয়েছিল। দুই দফার মিলিত অনুমোদনের পর মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩,৯৫০ টন।

সুগন্ধি চালের রপ্তানি ২০০৯-১০ অর্থবছরে শুরু হয়। ২০২২ সালে প্রথমবার রপ্তানি বন্ধ করা হলেও পরে কিছু অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই ও দক্ষিণ কোরিয়া সহ বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে রপ্তানি করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে গড়ে ১৮-২০ লাখ টন সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয়। তবে রপ্তানির পরিমাণ তার তুলনায় কম। ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় কোনো ঝুঁকি নেই বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

দেশে রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চালের মধ্যে রয়েছে কালিজিরা, কালিজিরা টিপিএল-৬২, চিনিগুঁড়া, চিনি আতপ, চিনি কানাই, বাদশাভোগ, কাটারিভোগ, মদনভোগ, রাঁধুনিপাগল, বাঁশফুল, জটাবাঁশফুল, বিন্নাফুল, তুলসীমালা, তুলসী আতপ, তুলসী মণি, মধুমালা, খোরমা, সাককুর খোরমা, নুনিয়া, পশুশাইল ও দুলাভোগ।

এবারের সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সুগন্ধি চালের বাজার সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে আরও কার্যকরভাবে অংশ নিতে পারবে।

শেয়ার করুন