সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাদামাটা ও শোকসন্তপ্ত আয়োজনে জবি দিবস উদযাপন

‎আশিকুর রহমান, ‎জবি প্রতিনিধি :
‎কুড়ি পেরিয়ে এবছর একুশ বছরে পদার্পন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। তবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এবছর সাদামাটা ও শোক শপ্ত আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকতা ও কর্মচারীরা। ‎আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) “ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ” প্রতিপাদ্যে জবি দিবস পালন করা হয়।
‎জানা যায়, ২০০৫ সালে ২০ অক্টোবর জগন্নাথ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়। তবে এবছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কালীপূজা বা শ্যামাপূজার কারণে এবছর ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু গত ১৯ অক্টোবর পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়েদ টিউশন বাসায় হত্যার শিকার হন। জুবায়েদের স্মরণে শোক শপ্ত আয়োজন প্রশাসনের।
‎এদিন সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এরপর পৌনে ১০টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিয়ে র‍্যালি শুরু হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মোড়  ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে এক আলাচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
‎লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজীম বলেন, “প্রতিবছর নাচগানসহ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়। তবে এবছর সবাই শোকে নিমজ্জিত। তাই সাদামাটাভাবে হলেও আমরা সন্তুষ্ট। সর্বোপরি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ কামনা করি।”
‎আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের ঐক্যের প্রতীক। তবে জুবায়েদ ভাইয়ের মৃত্যুতে সবাই ভীষণ মর্মাহত। তাই আনন্দের চেয়ে শোকই আজ বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই শোকই আমাদের আরও সচেতন ও দায়িত্ববান জবিয়ান হিসেবে গড়ে তুলবে বলে বিশ্বাস করি।”
‎বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়ে আসছে। তবে এ বছর কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে পুরো পরিবেশটি শোকাবহ হয়ে উঠেছে। সেই কারণেই আমরা এবার দিবসটি সাদামাটাভাবে আয়োজন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
শেয়ার করুন