পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধর্ষন ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাসুদুর রহমান-কে গ্রেপ্তার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গোলখালী গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ী থেকে আটক করা হয়। গত ২১ জুন গোলখালী নূরে মদিনা মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রী জান্নাতুলের রহস্য জনক মৃত্যু হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রথমে দাবি করে, জান্নাতুল সাপের কামড়ে মারা গেছে।
তবে জান্নাতুলের বাবা আলী আকবর জানায়, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন ধর্ষণের পর হত্যার আলামত রয়েছে। তাই তিনি চলতি বছরের ২৯ জুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)–এর ৯(২) ধারায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদ্রাসার পরিচালক মাসুদুর রহমান কে প্রধান আসামী এবং তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে ২নং আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে গলাচিপা থানা নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
দীর্ঘ চার মাস পর অবশেষে বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন মামলার প্রধান আসামি মাসুদুর রহমান। পুলিশ সুত্রে জানা যায় লামিয়া পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের আলী আকবর এর মেয়ে। আলী আকবর সরকারের কাছে আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবী জানিয়েছেন। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশাদুর রহমান জানান আসামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ী থেকে প্রধান আসামী মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।





