ডলারের দুর্বলতার প্রভাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার স্পট গোল্ডের দাম আউন্সপ্রতি ৩,৯৬৪.০৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের দিনের তুলনায় ০.৯ শতাংশ বৃদ্ধি।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা টেকনিক্যাল রিবাউন্ডকে দেখছেন। ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, “এই উত্থান কোনো বড় কারণের ফল নয়, তবে দীর্ঘমেয়াদে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।”
ডলারের দুর্বলতা অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য সোনা কেনাকে সহজ করছে। এদিন ডলার সূচক ০.২ শতাংশ কমেছে, যা বুধবার দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়েছিল।
ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরের দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমিয়ে ৩.৭৫–৪ শতাংশের মধ্যে নামিয়েছে। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানান, কর্মকর্তারা ভবিষ্যৎ নীতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সময় নিচ্ছেন এবং ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নেই—মার্কেটকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার খবর দিয়েছেন। চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক কমাবে এবং বিনিময়ে বেইজিং মার্কিন সয়াবিন ক্রয় পুনরায় শুরু করবে। এছাড়া বিরল ধাতু রপ্তানি অব্যাহত থাকবে এবং বেআইনি ফেন্টানিল বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক নীতির পরিবর্তনের প্রভাবে সোনার বাজারের এই ওঠানামা চলতি মাসে আরও স্থিতিশীল হবে কিনা তা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।





