বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বন্ধ করতে দলটি গতকাল থেকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
নাসীরুদ্দীন বলেন, “রাজনীতির নামে রাস্তায় মারামারি বা সংঘাত আমরা দেখতে চাই না। এটি বন্ধ করতে আমাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি বিএনপি ও জামায়াতকে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সরকার ইতোমধ্যেই বিষয়টি তাদের কোর্টে পাঠিয়েছে। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তবে এটি রাজনৈতিকভাবে লজ্জাজনক হবে। এজন্য আমাদের আহ্বান—দুটি দল আলোচনার টেবিলে বসুক।”
নাসীরুদ্দীন আরও উল্লেখ করেন, “এমনকি এক দল আরেকটিকে আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু কার সঙ্গে বসবে তা নির্ধারণ হয়নি। আবার কেউ বলছে এটি সরকারের দায়িত্ব। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বসতে পারছে না। সরকার এই পরিস্থিতি জনগণকে দেখাতে চেয়েছে যে, দলগুলো নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছভাবে আলোচনা করতে অক্ষম।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার গত ছয় মাস ধরে আলোচনার টেবিলে দলগুলোকে বসিয়ে রেখেছিল। যখন তারা টেবিল ছাড়ে, তখন বলে যে বসা জায়গা ছিল প্রতারণার। তাহলে আসলে ছয় মাস ধরে তারা প্রতারণার অংশ ছিলেন। এ ধরনের সংস্কৃতিকে প্রতিহত করতে হবে।”
নাসীরুদ্দীন জানান, বিএনপি ও জামায়াতকে এক টেবিলে বসানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে গতকাল নয়টি দলের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠন অংশ নিয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।





