রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের শ্রম সহযোগিতা নবায়নে নতুন চুক্তি করবে কুয়েত

ঢাকায় সফররত কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত সামি ঈসা জোহর হায়াত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ও কুয়েত শ্রম সহযোগিতাসহ সম্পর্ক জোরদারে শিগগিরই একাধিক নতুন চুক্তি করবে। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম। কুয়েতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রদূত সামি। সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়, আর এই প্রথম আমরা দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক পরামর্শ সভা করলাম।

 

 

বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আমাদের যৌথ অ্যাজেন্ডার নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি।  তিনি জানান, বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি, সামরিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এসব খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে একমত হয়েছি এবং শিগগিরই একাধিক নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সকালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধানসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এরপর দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছি। এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ আলির একটি চিঠি হস্তান্তর করেছি।

 

 

চিঠিতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি। সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আবারও ১৯৯০ সালের কুয়েতের দখলদারিত্বের সময় বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তখন থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি সেনা আমাদের পাশে থেকে মাইন অপসারণ ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে কুয়েত এয়ারওয়েজ সপ্তাহে সাতটি, আল জাজিরা এয়ারওয়েজ ১৪টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আমরা বাংলাদেশে আরও নতুন রুট ও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছি, যা খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, শ্রম সহযোগিতা নবায়নের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে, যা আগামী উচ্চপর্যায়ের সফরকালে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথমবারের মতো ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার ও বহুমাত্রিক সহযোগিতায় রূপ দিতে এই বৈঠকে নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে উভয় পক্ষ।

শেয়ার করুন