রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নির্যাতনের প্রমাণ ফাঁস, ইসরাইলের মুখে মানবাধিকারের মুখোশ খুলে গেল

ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ফিলিস্তিনি এক বন্দির ওপর নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ আইনি কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইফাত টোমার–ইয়েরুশালমি।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছাড়েন। জানা গেছে, ২০২৪ সালের আগস্টে বিতর্কিত ওই ভিডিও প্রকাশের অনুমতি তিনিই দিয়েছিলেন—এ তথ্য তিনি নিজেই পরে স্বীকার করেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটির প্রায় এক সপ্তাহ পর ইসরায়েলের এন–১২ নিউজে একটি নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ পায়। সেখানে দেখা যায়, সশস্ত্র কিছু সেনা এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে আলাদা করে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও পরে ভেতরে কী ঘটেছিল, তা দৃশ্যমান ছিল না।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে এবং টোমার–ইয়েরুশালমিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

পদত্যাগপত্রে টোমার–ইয়েরুশালমি দাবি করেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বেআইনি কাজ করেননি; বরং সেনাবাহিনীর আইনি শাখার মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর দপ্তর ‘অসত্য অভিযোগ ও অপপ্রচারের টার্গেটে’ পরিণত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ভিডিও প্রকাশের পর সেনাদের নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ডানপন্থি রাজনৈতিক মহল তদন্ত প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে। এমনকি তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনাঘাঁটিতে প্রবেশ করলে বিক্ষুব্ধ জনতা দুটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা চালায় বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন