রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আহত

নাইক্ষ্যংছড়ির (বান্দরবান) ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নায়েক আক্তার হোসেন নামের একজন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। বিজিবি সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের সাধারণ মানুষ মাইন বিস্ফোরণে আহত হলেও এই প্রথম কোনো বিজিবি সদস্য আক্রান্ত হলেন। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত সাড়ে আট মাসে ১৫ জনের বেশি মানুষ মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। আহতরা অধিকাংশ পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার রেজু আমতলী সীমান্ত চৌকি (বিওপি) থেকে একটি টহলদল বের হয়। দলটি ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলারের আনুমানিক ৫০০ গজের কাছাকাছি সীমান্ত সড়কের পাশে প্রস্তাবিত নতুন একটি বিওপির জায়গায় যায়। সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় একটি মাইন, তিনটি হাতবোমা, একটি মর্টারশেল পাহারা দেওয়ার জন্য বিজিবির টহল দলটি গিয়েছিল। ওই স্থানেই হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মাইনের স্প্লিন্টার ও বারুদের আগুনে বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন দুই পায়ে গুরুতর আঘাত পান। তাঁকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী এলাকাটি কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির আওতায় হলেও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, মাইন বিস্ফোরণের স্থানটি সীমান্তের কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আক্তার হোসেন আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন