কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম-১ (ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কচাকাটা) আসনে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে উঠছে রাজনৈতিক মাঠ। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক-এর সম্ভাব্য নির্বাচনী অংশগ্রহণ নিয়ে এলাকায় নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
বিভিন্ন চা-স্টল, হাট-বাজার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কয়েকজন আবারও “মোস্তাক ভাই নির্বাচন করবেন” — এমন প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া; বিশেষ করে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী তরুণ সমাজ তাঁর সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে কঠোর আপত্তি প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিত্ব করার পরও এই এলাকার শিক্ষা, কর্মসংস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিল্পোন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি, ফলে জনগণের একটি বড় অংশ এখনও অবহেলিত জীবনযাপন করছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তনের পক্ষে। গত কয়েক দশকের নেতৃত্বে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এবার তরুণ প্রজন্ম নতুন মুখ দেখতে চায়।”পুরনো দুর্নীতি আর জরাজীর্ণতা মানুষ দেখতে চায় না।
হোসনেয়ারা বেগম বলেন,(গৃহিণী নাগেশ্বরী):
মুস্তাকের মত নেতা আর আমরা চাই না। যে নিজের উন্নয়ন ছাড়া জনগণের উন্নয়ন কিছুই করে না। মানুষ পরিবর্তন চায়, নতুন নেতা নির্বাচন করতে চায়।
মাইনুল হক বলেন,(ব্যবসায়ী কচাকাটা):
আমরা চাই নদী ভাংগন রোধ করে যে উন্নয়ন করতে পারবে তাকেই আমরা ভোট দিব। নতুন নেতৃত্ব দেখতে চাই। যে জনগণের কথা বলবে, মাটি মানুষের কথা বলবে।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন,আমরা ২৪ সাল থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনাকে হটিয়েছি। এখন এই এলাকা থেকে সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রতিরোধ করব এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা নতুন এবং সুন্দরের পক্ষে।
২৪-এর আন্দোলনের চেতনাই হলো পুরোনো ব্যর্থ নেতৃত্বের বদল। তরুণদের ভাবনাকে এবার গুরুত্ব দিতে হবে সর্বাগ্রে।




