শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আপিল বিভাগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের শুনানি পঞ্চম দিনে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে পঞ্চম দিনের মতো শুনানি চলছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। সেদিন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।

এরও আগে বুধবার (২২ অক্টোবর) আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে শুনানি শেষ করেন বদিউল আলম মজুমদারের আইনজীবী। ওইদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রশ্ন তোলেন—রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলে সেটি সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কি না। এছাড়া একই সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু হলে সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের সংজ্ঞায় পড়বে কি না—এ বিষয়ে রায়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন বলেও মত দেন আইনজীবীরা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

এর ধারাবাহিকতায় ২১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। সেদিন সকালে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। পরে বিএনপি, জামায়াত ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযোজন করা হয় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে ১৯৯৮ সালে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ ঘোষণা দেয়।

শেয়ার করুন