বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে কোনো নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী ১০টির বেশি সক্রিয় মোবাইল সিম রাখা যাবে না। মোবাইল অপারেটররা আজ থেকেই অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করবে।
বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৩০ অক্টোবরের পর অতিরিক্ত সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করা হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন, কিন্তু জুলাই মাসে কমিশন জানিয়েছিল, এখন থেকে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না।
গ্রাহকরা চাইলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্ট্রার করতে পারবেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, “১ নভেম্বর থেকে অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করা শুরু করবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত করা হবে, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম থাকবে না।”
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, যেখানে প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, ৬ থেকে ১০টি সিম ব্যবহার করেন প্রায় ১৬ শতাংশ, এবং ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, সিম ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং প্রতারণা রোধের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে বা *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা যাচাই করতে পারবেন।
বিটিআরসি জানায়, সিম বন্ধ করার ক্ষেত্রে ‘দৈবচয়ন’ নীতি (লাকি পদ্ধতি) অনুসরণ করা হবে। এর ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে একজন গ্রাহকের এনআইডিতে নিবন্ধিত গুরুত্বপূর্ণ সিমও।





