নিহত শ্রমিকের নাম রিনা, বয়স ৩০ বছর। তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, অসুস্থ অবস্থায় রিনা ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু অনুমতি পাননি। বাধ্য হয়ে তিনি কাজ চালিয়ে যান। কাজের সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে তিনি মারা যান।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ সহকর্মীরা সকাল ১০টার দিকে কারখানার সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, “নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সহকর্মীরা কারখানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছাড়েন।”
তিনি আরও বলেন, “শিল্প পুলিশের সদস্যরা শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছেন। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে লারিজ ফ্যাশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল বলেন, “রিনা অসুস্থ হওয়ার পরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমরা তার মৃত্যুর ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে দাফন-কাফনের সমস্ত দায়িত্ব আমরা বহন করেছি।”
চার ঘণ্টা দীর্ঘ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং শ্রমিকরা পুনরায় কাজে যোগ দেন।
								
															




