সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নে রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগমকে নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব নুরে আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গত ২০ অক্টোবর এ আদেশ জারি করা হয়। তবে বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশ্যে আসে।
ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “চিঠিটি ২০ অক্টোবর ইস্যু হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান এটি ৩ নভেম্বর হাতে পান। ওই দিন থেকেই তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।”
সাময়িক বহিষ্কৃত প্যানেল চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী দাবি করেছেন, তার স্বাক্ষর জাল করে রোহিঙ্গা নারী ওই সনদপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার স্বাক্ষর নকল করে রোহিঙ্গা নারী নাগরিক সনদে স্বাক্ষর করেছেন। তবে সনদটি ইউনিয়ন পরিষদেরই। ওই নারী কোনো না কোনোভাবে এটি সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগম বাংলাদেশি নাগরিক না হয়েও ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ সংগ্রহ করেছিলেন।
পরে তিনি এই সনদ ব্যবহার করে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার জন্য আবেদন করেন। যাচাই-বাছাইয়ের সময় নির্বাচন কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কক্সবাজারের উখিয়া টেংখালী ক্যাম্প-১২, জি-৪ এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করেন।
তদন্তে দেখা যায়, রোহিঙ্গা রোকেয়া বেগমকে দেওয়া ৪০২ নম্বর ক্রমিকের নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদটি গত ৮ আগস্ট তারিখে প্যানেল চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর স্বাক্ষরযুক্ত ছিল।
ঘটনার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করে লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।





