কামরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা এলাকায় অটো মিশুক চালক আমিরুল ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার ও নিহতের অটো মিশুকের মালামাল উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (৬ নভেম্বর-২০২৫ খ্রিঃ) সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মোঃ আমিরুল ইসলাম (২০), পিতা- মৃত আহম্মদ আলী, সাং-অলিদহ, থানা-সলঙ্গা, গত ০৫ আগস্ট দুপুরে ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে মিশুক গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে ফিরে না আসায় পরিবার সলঙ্গা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। দীর্ঘদিন পর গত ১৮ অক্টোবর রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চক নিহাল উত্তরপাড়া গ্রামের একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে, রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খান এবং জেলা ডিবি’র ওসি মোঃ একরামুল হোসাইন, পিপিএম-এর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) নাজমুল হক, বিপিএম ও সঙ্গীয় টিম তদন্তে নামে।
তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় চৌকস টিমটি ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে সনাক্ত করে। পরে অভিযান চালিয়ে (১)মোঃ সাহেব আলী প্রামানিক (২৫), পিতা-মৃত সোহরাব আলী, চক নিহাল,(২) মোঃ আব্দুল আজিম প্রাং (৩১), পিতা-মৃত আব্দুল বাহের, ওয়াসিন, তাড়াশ — এই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে নিহতের অটো মিশুকের বিভিন্ন অংশ— হ্যান্ডেল, মিটার, টায়ার, লোহা বডি ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়। এরপর তৃতীয় আসামি (৩) মোঃ মনিরুজ্জামান সরকার (৪৪), পিতা-মৃত শাহজাহান আলী, চক নিহাল — গ্রেফতার হন। তার দেখানো মতে নিহতের মিশুকের চারটি ব্যাটারি (JINDING ও H-POWER ব্র্যান্ডের) উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তিন আসামি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পুলিশ জানায়, আমিরুলকে পরিকল্পিতভাবে অটো মিশুকসহ অপহরণ করে হত্যা করে আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন,“অপরাধীরা যতই চতুর হোক, তারা আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বদা বদ্ধপরিকর।”





