বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুটি দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে আইনজীবী মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
দুটি মামলার মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনা ও আরও ১১ জন আসামি হিসেবে রয়েছেন, অপর মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জনকে। প্রথম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং দ্বিতীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস এম রাশেদুল হাসানকে জেরা করা হয় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দ্বারা।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৯ জন সাক্ষীর সবাই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জনের মামলায় ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরেকটি মামলায় এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। আদালত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. মইনুল হাসান লিপন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ একই বিচারক তিনটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পাশাপাশি বাকি তিন মামলার অভিযোগ গঠন হয় বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে।
এসব মামলার একটিতে শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন, আরেকটিতে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন, এবং অপর মামলায় রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি হিসেবে রয়েছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোট ৬টি পৃথক মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাজউকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশনের মতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক অনিয়মের শামিল।





