কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী) আসনে ঘটেছে এক বিরল ঘটনা। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী— দুটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েছেন সহোদর দুই ভাই। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এ লড়াইকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন “ভাই-ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা”, কেউবা বলছেন “পরিবার বিভক্ত রাজনীতি”।
বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন রৌমারী উপজেলার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলের সাবেক উপজেলা আমীর ও ইসলামী চিন্তাবিদ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে নিজ নিজ দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং এলাকায় জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত। পারিবারিকভাবে তারা ঘনিষ্ঠ হলেও রাজনৈতিক আদর্শে ভিন্নমতের। আজিজুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত রাজনীতির মধ্য দিয়ে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন।
স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও পর্যবেক্ষকদের মতে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই শক্ত ভোটভিত্তি রয়েছে। ফলে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও উত্তেজনাপূর্ণ।
রৌমারীর এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “দুই ভাই-ই এলাকায় প্রভাবশালী। তাদের জনপ্রিয়তা ও পারিবারিক পরিচিতি ভোটের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
চরাঞ্চল থেকে শহর পর্যন্ত এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একটাই— “ভাইয়ের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে?”
চিলমারীর এক ভোটার বলেন, “আমরা দুই ভাইকেই ভালোভাবে চিনি। দুজনই এলাকায় কাজ করেছেন। এখন দেখার বিষয় কে ভোটারদের বেশি আস্থা অর্জন করতে পারেন।”
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে তিনটি উপজেলা— রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী— নিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। এ আসনে ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাব থাকলেও
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ভাই-ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই অনন্য দৃশ্য রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল ও উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
ভোটারদের একটাই প্রশ্ন— শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেন কোন ভাই?




