মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ বারবার পিছিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেন আসামিদের পক্ষে আইনজীবী দুলু। তিনি এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন।
দুলু বলেন, “আইনের মূল ভিত্তি হলো ‘প্রিন্সিপল অব ন্যাচারাল জাস্টিস’। এছাড়াও ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডার-২০০৯ অনুযায়ী, আদালতে যে কোনো আবেদন করা হলে তা অপরপক্ষকে হস্তান্তর করতে হয়। গত তিনটি ধার্য তারিখে প্রসিকিউশন সাক্ষী উপস্থিত করার জন্য সময়ের আবেদন করেছে, কিন্তু আমরা সেই সম্পর্কিত কোনো নথি পাইনি। এরপরেও দেখা গেছে, সাক্ষী আদালতে হাজির হননি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “প্রসিকিউশনের প্রধান দায়িত্ব হলো আসামি বা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ প্রমাণ করা। এর অন্যতম প্রক্রিয়া হলো সাক্ষী উপস্থাপন। কিন্তু গত তিনটি কার্যদিবসে সাক্ষী উপস্থিত হননি। আমরা প্রকৃত কারণ জানি না, তবে ধারণা করা যায় যে, প্রসিকিউশনের ব্যর্থতার কারণে অথবা আদালত থেকে পাঠানো সমন বা নোটিশ সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। এর পুরো দায়িত্বই প্রসিকিউশনের। তারা চার্জ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন।”
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের ১০তম দিন ছিল আজ। কিন্তু সাক্ষী না আসায় ট্রাইব্যুনাল-২ আগামী ১০ নভেম্বর পুনরায় দিন ধার্য করেছেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন – এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।
মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার গত ২৭ আগস্ট শুরু হয়, সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন। বর্তমানে ২৪ আসামি এখনও পলাতক থাকায়, তাদের পক্ষে ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।





