দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও হামলা চালিয়ে চলেছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলের বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। চলতি সংঘাত ও হামলার কারণে গাজায় এখন পর্যন্ত ২৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
এছাড়া, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক কিশোরসহ দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
অপরদিকে, গাজা শহরে তল্লাশি অভিযানের পর আরও তিন বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এর আগে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আরও ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ হস্তান্তরের পর মোট মৃতদেহের সংখ্যা ২২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে অনেকের চোখ বাঁধা এবং হাতকড়া পরানো ছিল। অনেকের দেহ পচে গেছে বা পুড়ে গেছে, আবার অনেকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা দাঁত অনুপস্থিত।
ইসরায়েল বহু ফিলিস্তিনিকে কারাগারে আটকে রেখেছে, অনেকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের না করেই। দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের নির্যাতন চলমান। গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই নির্যাতন আরও বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের চুক্তির আওতায় হামাস ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এছাড়াও, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার নগর কেন্দ্রগুলো থেকে আংশিকভাবে প্রত্যাহার করেছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে। দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৮,৮৫৮ জন নিহত এবং ১,৭০,৬৬৪ জন আহত হয়েছে।





