সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাশিয়া ও চীন গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাও যথেষ্ট : ট্রাম্পের দাবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া ও চীন গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে — যদিও তারা সেটি প্রকাশ্যে স্বীকার করছে না। একই সাক্ষাৎকারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিকট পর্যাপ্ত পারমাণবিক শক্তি আছে বলে দাবি করেন এবং বলেন, তা দিয়ে “পৃথিবীকে ১৫০ বার ধ্বংস” করার সমপরিমাণ ক্ষতি করা সম্ভব।

সিএবিএস নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ৬০ মিনিটস‑এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এসব মন্তব্য করেন; খবরটি পরে টিআরটি ওয়ার্ল্ডও উপস্থাপন করে। সাক্ষাৎকারটিতে উপস্থাপিকা নোরা ও’ডনেল যখন বলছিলেন বর্তমানে কেবল উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে, তখন ট্রাম্প পাল্টা বলেন, রাশিয়া ও চীনও পরীক্ষা চালাচ্ছে কিন্তু তা প্রকাশ্যে বলছে না।

ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ হয়ে পরীক্ষা না চালালে তা বাস্তবসম্মত হবে না—কারণ অস্ত্র তৈরি করে সেটি পরীক্ষা না করলে কার্যকারিতা জানা সম্ভব হবে না। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি চান যুক্তরাষ্ট্রও পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় থাকা থেকে বাদ না পড়ুক।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের কাছে বিশাল পারমাণবিক ক্ষমতা রয়েছে — যার তুলনায় অন্য কোনো দেশের নেই। রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে, চীন এখন পিছিয়ে, কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যে তারা সমতা অর্জন করতে পারে।” তিনি যোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যা তত্ত্বগতভাবে ‘পৃথিবীকে ১৫০ বার ধ্বংস’ করার সামর্থ্যশালী বলেও দাবি করেন এবং রাশিয়া ও চীনের পারমাণবিক সামর্থ্য নিয়ে সতর্কতা ব্যক্ত করেন।

বিশ্বস্ত নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সাধারণত এই ধরনের প্রযুক্তিগত দাবি যাচাইয়ে সতর্ক হন এবং কার্যক্ষমতা, পরিসর ও বাস্তবায়ন শর্তসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। তবে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্টের মন্তব্যগুলো স্পষ্টভাবে ট্রাম্পের নিজস্ব অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক নীতিসংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করেছে।

শেয়ার করুন