সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াই গণভোট: হাসনাত আবদুল্লাহ

গণভোট হলো জুলাই সনদ বাস্তবায়নের স্বাভাবিক ও যৌক্তিক প্রক্রিয়া— এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা নাগরিক পার্টির আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যারা একসময় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন, এখন তারাই বলছেন—যা ছিল, তা আর নেই। আমরা তো আগেই বলেছি, ‘জরিনা সংসার করবে সকিনার সঙ্গে’— অর্থাৎ একসঙ্গে পথচলার অঙ্গীকার যাঁরা করেছিলেন, তাঁরা এখন সরে যাচ্ছেন। জুলাই সনদ জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এখন নাকি চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সার্টিফিকেট নিতে হবে— যার আমলে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছিল, শত শত মানুষ আহত হয়েছিল। সেই সময়কার কারও কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে— এটা জাতির জন্য অপমানজনক। কোনো শহীদ পরিবার বা আহত ব্যক্তি এতে সম্মত নয়।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, “মানুষ এখন জুলাই সনদের বাস্তবায়ন দেখতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনি দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিন।”

হাসনাত আরও বলেন, “আমাদের আসন্ন রাজনৈতিক জোট হবে জুলাই–২৪ পরবর্তী সংস্কার ও পুনর্গঠনে বিশ্বাসী, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আস্থাশীল সব রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে। তারাই হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপকার।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম মুসা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, যুগ্ম মুখ্য সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।

সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শেষে প্রধান অতিথি দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, পটুয়াখালী জেলায় এনসিপির পাশাপাশি ছাত্রশক্তি ও যুবশক্তির কার্যক্রম জোরদার করে সাংগঠনিক ভিত্তি আরও মজবুত করতে।

শেয়ার করুন