গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য ফিলিস্তিনকেই দায়ী করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করে। তবে সেই সেনা নিহতের তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলাটিই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সূচনা। এটি ফিলিস্তিনি পক্ষের পক্ষ থেকেই ঘটেছে।” তিনি আরও জানান, হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ নেই।
এর আগে ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘শক্তিশালী পাল্টা হামলার’ নির্দেশ দেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪৬ শিশু ও ২০ জন নারী রয়েছেন। পরদিন বুধবার (২৯ অক্টোবর) গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় আরও এক হামলায় দুইজনের মৃত্যু হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এসব হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করা হয়েছিল এবং “ডজনখানেক” হামাস সদস্য নিহত হয়েছেন। এর পরদিন দুপুরে ইসরায়েল আবারও নতুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ঘোষণা দেয়।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল–থানি বলেন, “যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মঙ্গলবার যা ঘটেছে, তা স্পষ্টতই যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন।”
তিনি আরও জানান, হামাসের পক্ষ থেকে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। “আমরা তাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি, এটি চুক্তির অংশ এবং প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে।”
আল–থানি বলেন, “২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা বহু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি। এই পথ সহজ নয়, কিন্তু আমরা প্রতিটি যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”
ঘটনাটিকে “খুবই হতাশাজনক ও দুঃখজনক” বলে আখ্যা দেন তিনি। “আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়ে আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছি,” বলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: ডন





