বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, যারা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন চায়, তারা মূলত জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই পক্ষ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি মেনে নিতে রাজি হয়নি। ফলস্বরূপ, তারা গণভোটের পক্ষে হলেও আয়োজন নিয়ে বিভ্রান্তিকর যুক্তি তুলে ধরছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নভেম্বরে গণভোট হলে আপত্তি কেন? এদেশের জনগণ বোকা নয়, জনগণকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আদেশ জারি করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে।”
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার তাণ্ডবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি আরও বলেন, “তিন-চার দশক আগের ঘটনায় মিথ্যা মামলা সাজানো যেতে পারে, তাহলে কেন ২৮ অক্টোবরের প্রকৃত আসামীদের বিচার হবে না? দ্রুত বিচার আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সংশ্লিষ্টদের বিচার করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের মতো বিচার নিশ্চিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধ না করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তার মতে, এই জোট সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু করে বিজয়নগর-কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর অভিমুখে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে হাজার-হাজার নেতাকর্মী ২৮ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অংশ নেন।
বাংলার চোখ নিউজ
