জেমস আব্দুর রহিম রানা, (যশোর প্রতিনিধি):
তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যশোরের মনিরামপুরে তথ্য অধিকার বিষয়ক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।“নেটজ বাংলাদেশ” এর অর্থায়নে মনিরামপুর পৌর শহরের মুনলিট ক্যাফে হল রুমে ‘রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ’ এর হোপ প্রকল্পের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণটি আয়োজিত হয়। মনিরামপুর উপজেলা সিএসও’র সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্বাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও রিইবের প্রকল্প সমন্বয়কারি খালিদ হাসান এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
জেলা এনজিও সমন্বয়কারী শাহাজান নান্নু। এতে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন রিইব এর উপ- পরিচালক রুহি নাজ।এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএসও’র সভাপ্রধান অনুপমা মিত্র,মনিরামপুর সিএসও’র সম্পাদক নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন রায়,সাবেক কাউন্সিলর গীতা রানী কুন্ডু প্রমূখ। প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রিইব হোপ প্রকল্পের টেকনিক্যাল সমন্বয়কারী ভানু রানী।
প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন, তথ্য অধিকার আইন জনগণেরপ্রশিক্ষণে ক্ষমতায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তাদের আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে সমুন্নত রাখা।
রিসোর্স পারসন ভানু রানী, তথ্য অধিকার আইন, বিধিমালা, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা, তথ্যের জন্য আবেদন পদ্ধতি, তথ্য প্রদানের সময়সীমা, আপিল প্রক্রিয়া এবং তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতির বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা ও উদাহরণসহ তুলে ধরেন। দুই দিনের কর্মশালায় একাধিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন, রিসোর্স পারসনগণ তথ্য অধিকার আইনের পটভূমি, গুরুত্ব এবং তথ্য কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত নির্দেশিকাসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, কোন কোন তথ্য প্রকাশ করা যাবে না এবং সেই সংক্রান্ত আইনি সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা হয়।
দ্বিতীয় দিনের সেশনগুলোতে মূলতঃ ব্যবহারিক দিকগুলোর উপর জোর দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীরা কেস স্টাডি বিশ্লেষণ করেন এবং কীভাবে কার্যকরভাবে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে ধারণা লাভ করেন। প্রশিক্ষকগণ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার ভূমিকা ও দায়িত্ব এবং আপিল কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী নিয়ে আলোকপাত করেন। অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় এবং আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা বোঝানো হয়।
প্রশিক্ষনের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ তথ্য অধিকার আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। তিনি অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে বাসন্তী রানী জানান, এই কর্মশালা তাদের তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে এবং তাদের দাপ্তরিক কাজে এই জ্ঞান অত্যন্ত সহায়ক হবে।





