নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভারতের নারী ক্রিকেট দল গোটা দেশকে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে আনন্দের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা বলেন, “৪৫ দিন ঘুমাতে পারিনি, এখন সব স্বার্থক মনে হচ্ছে। কষ্টের সব প্রতিদান পেয়েছি।”
ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক শিরোপা জয়ের পর ভারতীয় খেলোয়াড়রা আবেগে ভাসছিলেন — কেউ কাঁদছিলেন, কেউ হাসছিলেন, কেউ কেবল অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে ছিলেন। ফাইনালের সেরা শেফালি বার্মা জানান, “আজ নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেই খেলেছি। শচিন স্যারের উপস্থিতিই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।”
টুর্নামেন্টসেরা দীপ্তি শর্মা বলেন, “এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, এটা যেন এক স্বপ্ন। প্রতিটি ম্যাচ থেকে আমরা ইতিবাচক কিছু নিয়েছি। সমর্থকদের ধন্যবাদ, তাদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।” আমানজোত কউরও আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বলেন, “ওলভারডটের ক্যাচ ধরতে পারা ঈশ্বরের পক্ষ থেকেই সম্ভব হয়েছে। এই জয় শুধু আমাদের নয়, পুরো ভারতের।”
শেষ মুহূর্তে ম্যাচ জেতানো রিচা ঘোষ বলেন, “শেষ মুহূর্তে চাপ ছিল, কিন্তু সতীর্থদের বিশ্বাস আমাকে সাহস দিয়েছে।” চোটের কারণে খেলতে না পারা প্রতীকা রাওয়ালও হুইলচেয়ার থেকে উঠে দলকে উদযাপনে অংশ নেন, বললেন, “এই পতাকাটা কাঁধে নেওয়া জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব।”
দলের কোচ অমোল মুজুমদার মন্তব্য করেন, “এটি শুধু ট্রফি নয়, ভারতের নারী ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। মেয়েরা যা করেছে, তা অবিশ্বাস্য।” স্মৃতি মন্ধানা যোগ করেন, “আমরা একে অপরের সাফল্যে খুশি হয়েছি, ব্যর্থতায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছি। এই ‘একতার স্পিরিট’ই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”





