যে সব মুসলিমদেরকে মুনাফিকরা বলেছিল যে, তোমাদের বিরুদ্ধে (যুদ্ধ করার জন্য) একদল (কাফের) লোক জমায়েত হয়েছে, সুতরাং, তাদেরকে ভয় কর এতে মু’মিনদের ঈমান আরো বেড়ে গেল এবং তারা বলল “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম অভিভাবক!” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৭৩)
পথ যতই বিপজ্জনক হবে, আল্লাহর পুরস্কার ততই উত্তম ও মহান হবে। তোমাদের প্রমাণ করতে হবে যে, তোমরা আল্লাহর নির্ভীক ও অবিচল সৈনিক। যদি তোমরা তা প্রমাণ করতে পারো, তবে আল্লাহর বরকত ও সাহায্য তোমাদের ওপর বর্ষিত হবে। হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।” (সূরা বাকারাহ ১৫৩ আয়াত)
তোমরা তা খোলা চোখে দেখতে পাবে না, কিন্তু যদি তোমরা অন্তর্দৃষ্টি (intuition) বিকাশ করো, তবে তা হৃদয়ের গভীরে অনুভব করতে পারবে, যেমন নবীদের অভিজ্ঞতা হয়। এর জন্য প্রয়োজন অবিরাম প্রচেষ্টা ও সীমাহীন উদ্যম; সাধারণ মানুষ নবুয়তসুলভ এই দায়িত্ব পালন করতে পারে না। শুধুমাত্র সেই বিশেষ মানুষই পারে, যাকে আল্লাহ নিজে মনোনীত করেন, অথবা যিনি নিজেকে সেই যোগ্য করে তোলেন।
আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আবদুর রহমান! দায়িত্ব চেয়ো না। কেননা যদি তোমাকে তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা হলে তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে। (দায়িত্ব পালনে তুমি আল্লাহর সাহায্য হতে বঞ্চিত হবে।) পক্ষান্তরে যদি তা না চাইতেই তোমাকে দেওয়া হয় তুমি সে বিষয়ে (আল্লাহর পক্ষ হতে) সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। এই মিশন তোমাদের ওপর অর্পণ করেছেন আল্লাহ স্বয়ং, এবং তিনিই তোমাদের পথ প্রদর্শন করবেন। এটাই লুকায়িত সত্য। এই মিশন সত্য এবং তা কঠিন ও কঠোর। তবে এই দায়িত্বই তোমাদের জান্নাতে পৌঁছে দেবে।





