অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশের গনতন্ত্র ধব্বংস করেছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সভা – সমাবেশ করার স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছিলো ।
বিএনপিকে অনেক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে হাটতে হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে রাজপথ ফুল বিছানো হবে না, অনেক কাটা-কন্টক পথ অতিক্রম করতে হবে। যে নির্বাচন নিশ্চিত করতে বেগম জিয়া জেল খেটেছেন, চিকিৎসা বঞ্চিত হয়েছেন।
দেশকে ভায়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন বেগম খালেদা জিয়া লড়াই করেছেন । তারপরেও তাকে বংলাদেশ থেকে সরাতে পারেনি এবং আত্মসমর্পন করাতে পারেনি।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) নরসিংদীর হেরিটেজ রিসোর্টে আয়োজিত বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এ পরিস্থিতির মধ্যে দলের হাল ধরেছিলেন তারেক রহমান। শহিদ জিয়া যে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন সেই পতাকা বেগম জিয়া ধারন করেছেন। পরে তারেক রহমান ধারন করে গোটা জাতিকে ঐক্য বদ্ধ করার মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছেন।
শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্য একটি দেশে। কিন্তু সেখানে থেকেও বিভিন্ন অডিও ভিডিওর মাধ্যমে বাংলাদেশে হানাহানি অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন যেনো না হয় তার জন্য তিনি নানা ধরনের নির্দেশ দিচ্ছেন। এরই মধ্যেই একটি রাজনৈতিক দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। তাদের এক নেতা বলেছেন যার নাম ডা. তাহের। তিনি বলেছেন আগামী নির্বাচন নাও হতে পারে। আগামী নির্বাচন না হতে পারে কেনো? তাহের সাহেব আমি যানতে চাই, এটা কিসের আলামত, কিসের ইঙ্গীত, কোথা থেকে আপনাদের দাবি আসছে।
দেশের মানুষ ১৬ বছর নির্বাচন করতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। ভোট কেন্দ্র ছিলো আওয়ামীলীগের দখলে। ভোট কেন্দ্রে গরু, বাছুর, ছাগল,কুকুর ছাড়া কেউ যায়নি। আজকে এই পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে। আর আপনারা বলছেন নির্বাচন নাও হতে পারে!
তিনি আরো বলেন, যারা সমাজে চাঁদাবাজী করে, মানুষের মধ্যে আতংক তৈরি করে, দখলবাজি করে তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। তাদের জন্য বিএনপির দরজা বন্ধ। সমাজের সকল শ্রেনীর ভালো মানুষ বিএনপির সদস্য হতে পারবে। এ বিষয় গুলো বিবেচনায় রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অপরাধী খুব বেশি থাকে না শতকরা একজন দুইজন থাকে । কিন্তু এই দুই- একজনই সমাজকে কলংকিত করে।
বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ।





