সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা হিরো আলম আবারও আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। জানিয়েছেন, জনগণ সমর্থন দিলে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান—যে আসনে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছেন।
সম্প্রতি দেওয়া এক বক্তব্যে হিরো আলম বলেন, “আমি দুটি আসনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছি—একটি বগুড়ায়, অন্যটি ঢাকায়। তবে যদি জনগণ সাহস জোগায়, তাহলে শেখ হাসিনার আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।”
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “জনগণ যদি সাহস দেয়, আমি গোপালগঞ্জের শেখ হাসিনার আসনে নির্বাচন করতে চাই। প্রশ্ন হচ্ছে—গোপালগঞ্জবাসী কি আমাকে ভোট দেবেন?”
হিরো আলমের ভাষায়, তার রাজনীতি করার লক্ষ্য শুধুই জনগণের সেবা করা। তিনি বিশ্বাস করেন, গোপালগঞ্জের মানুষ যদি ভালোবাসা ও আস্থা দেখান, তবে সেখান থেকেও তিনি পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন।
আগে থেকেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ঢাকা-১৭ এবং বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কেন একসঙ্গে দুই আসনে প্রার্থী হচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এর আগেও আমি দুটি আসন থেকে নির্বাচন করেছি। এই আসনের মানুষের সঙ্গে আমার আলাদা সম্পর্ক আছে। ঢাকায় প্রার্থিতা ঘোষণা দেওয়ার পর অনেকেই আমাকে ফোন করে উৎসাহ দিয়েছেন। তখনই ভাবলাম—যেহেতু জনগণ চাইছে আমি নির্বাচন করি, তাহলে কেন দুই জায়গা থেকেই লড়ব না? তাই রাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দুই আসনেই প্রার্থী হব।”
ঢাকা-১৭ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বেশ জমজমাট। এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)-এর চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থসহ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও আরও কয়েকটি দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে বগুড়া-৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মোশারফ হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানেও একাধিক দলের প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন বলে জানা গেছে।
হিরো আলম জানিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তবে একাধিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “যদি কোথাও মতের মিল হয়, তাহলে কোনো দলে যোগ দিতে পারি; আর না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়ব।”
