লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়েহ জেলায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
হামলাটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয়, যা নাবাতিয়েহ জেলার কাফার্সি শহরে সংঘটিত হয়।
এই হামলার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধবিরতির ওপর নতুন চাপ তৈরি হচ্ছে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি সীমান্তবর্তী আক্রমণের স্থায়ী অবসানের জন্য আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ওপর হামলা শুরু করে। এক বছরেরও বেশি সময় যুদ্ধবিরতি পালনের পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে উভয় পক্ষ পুনরায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং প্রায় প্রতিদিন বিমান হামলা চালাচ্ছে। এতে বেসামরিক নাগরিক ও সাংবাদিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ১১১ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টও যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছেন। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে লেবাননের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। এর লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান নিশ্চিত করা।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হামলার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস করতে চায়। তবে এই অভিযানের সময় বেসামরিক লোকও নিহত হয়েছেন, এবং ইসরায়েল কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীকে দক্ষিণে যেকোনো নতুন ইসরায়েলি আক্রমণ মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সৈন্যরা সীমান্তবর্তী শহর ব্লিদায় প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পর এই নির্দেশ জারি করা হয়। এ সময় পৌরকর্মী নিহত হয়েছেন।
মামলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই উত্তেজনার মধ্যেই অঞ্চলটির শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর নতুন চাপ তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতি নেটিভভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সুত্র : আল জাজিরা





