সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাবিতে শিক্ষকের ওপর খাতা ছোড়ার অভিযোগ, ছাত্রীর দাবি ‘জ্বিনের আছর’

হ্লাথোয়াইছা চাক, রাবি প্রতিনিধি :
‎রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ছাত্রীর দাবি, তার উপর জ্বিনের আছর ছিল। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন সেই শিক্ষক।
‎অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নং কক্ষে ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের  শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় এ ঘটনা ঘটে। ক্লাসের শুরুতে ধারাবাহিক রোল কলের এক পর্যায়ে তাসনিম জাহান মীমের রোল কল করা হলেও তিনি সারা দেয়নি। পুনরায় মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করলে আমার দিকে ব্যাগ ছুড়ে মারে এবং অস্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করে।
অভিযোগপত্রে তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে তার সহপাঠীদের তাকে শান্ত করতে বলি। এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর হাতের নখ বড় থাকায় আমি আমার শিক্ষার্থীদের সাবধানে ধরার কথা বলি। তখন সে চিৎকার করে বলে “আমার হাতে বড় নখ, তাতে তোর কি।” উক্ত কথা শোনার পর আমি হতভম্ব ও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি।
‎‎অভিযোগের ব্যাপারে মীম বলেন, আমি মানসিক সমস্যায় ভুগছি। আমার উপর জ্বিনের আছর আছে। সেজন্য চিকিৎসাও চলছে। সেদিন আমি অজান্তেই খাতা ছুড়ে মেরেছি। আরও কি কি করছি সেগুলো মনে নেই। পরে শুনেছি, সেই পুরো সময় স্যারই আমাকে স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করেছেন। তাই এ বিষয়ে স্যারের সঙ্গে কোন কথা হয়নি।
‎‎অভিযোগকারী শিক্ষক সাজু সরদার বলেন, ওই ছাত্রীর জ্বিনের আছর ছিল না। সে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই আমাকে অপমান করতেই এমন করেছে। এমনকি পরবর্তীতে সেটা নিয়ে তার ন্যূনতম অনুশোচনাবোধ নেই, উল্টো পাঠদান ও নম্বর কম দেওয়ার কথা রটিয়েছে। শিক্ষক হিসেবে এটা চরম অপমানের এবং এটার জন্য তার শাস্তির দাবি জানাই।
‎উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে একই বিভাগের শিক্ষক তানজিল ভূইয়ার সঙ্গে মীমের অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ পাওয়া যায়। সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে বিচার চান তানজিল ভূইয়ার প্রথম পক্ষের স্ত্রী। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগপত্র দেওয়া আছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন সাজু সরদার।
শেয়ার করুন