আব্দুর রহিম রানা যশোর প্রতিনিধি :
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যশোর জেলার পাঁচটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। একটি আসন জোটের শরিক দলের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
যশোর-১ (শারশা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তিনি বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য। ২০০১ সালে এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ এই নেতা আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা–চৌগাছা) আসনে প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন সাবিরা নাজমুল মুন্নি। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে সক্রিয় নারী রাজনীতিক এবং একাধিকবার জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। মনোনয়ন বোর্ডে তাঁর নাম সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়েছে।
যশোর-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের পুত্র। তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে তিনি যশোরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও তিনি পরিচিত।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া–অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব পেয়েছেন মনোনয়ন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি যশোর-৪ আসনে সক্রিয় রাজনীতি করছেন এবং সংগঠনের প্রতি তাঁর ত্যাগ ও নিষ্ঠা বিবেচনায় দল তাঁকে প্রার্থী করেছে।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এ আসনে শরিক দলের মধ্য থেকে প্রার্থী নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তরুণ প্রজন্মের এই নেতা কেশবপুরে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সংগঠন ও গণআন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন। তাঁর নামও তারেক রহমানের অনুমোদিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, যশোর জেলার মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ত্যাগ, সাংগঠনিক সক্ষমতা, জনপ্রিয়তা ও মাঠপর্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করা হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি এবার যশোরে অভিজ্ঞ ও তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয়ে শক্তিশালী প্রার্থী তালিকা দাঁড় করিয়েছে। এটি মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের গতি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।





