রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যশোরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযোগ এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে

জুম্মান হোসেন, যশোর প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যশোর জেলা শাখার যুব বিষয়ক সম্পাদক পল্লব কুমার দাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষানবীশ আইনজীবী পরিচয়দানকারী অর্ণব ঘোষ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন তিনি অন্যথায় পরিবারসহ গুম ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অর্ণব ঘোষ বিরামপুর এলাকার মন্টা ঘোষের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সেই প্রভাব এখনো খাটানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী একই এলাকার প্রদীপ দাসের ছেলে পল্লব কুমার দাস।সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) পল্লব দাস উল্লেখ করেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া নিয়ে ২০২৫ তারিখে তার বসতবাড়িতে গৌরাঙ্গ বিশ্বাস হামলা চালিয়ে পল্লব তার স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় পল্লব দাস গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে অর্ণব ঘোষ পুলিশের সামনেই পল্লব দাসকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১টা ৪০ মিনিটে অর্ণব ঘোষ দুই-তিনজন সহযোগী নিয়ে পল্লব দাসের বাড়ির সামনে এসে গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয় দেখান। না হলে পল্লব ও তার পরিবারকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্ণব ঘোষ বলেন, তিনি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শিক্ষানবীশ আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি উল্টো দাবি করেন, পল্লব দাস মাদকাশক্ত। পল্লব তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দীন বলেন, মূলত গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বিদ্যুতের চোরাই লাইন নিয়েছিল। পল্লব বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়ে দেয়। এরপর গৌরাঙ্গের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন অর্ণব। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে শত্রুতা শুরু হয়।
অভিযোগকারীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি প্রথমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অনীহা প্রকাশ করেন। তার পেশাগত , হাইকোর্টের আইনজীবী কাজের কথা জিজ্ঞেস করলে বারবার অন্য প্রসঙ্গে কথা ঘুরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বলেন — “আপনারা যা কিছু মনে করেন, তাই লিখেন।”
এ সময় আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিই, সংবাদকর্মী হিসেবে আমরা কারও বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো কিছু লিখি না; আমরা কেবল যাচাই-বাছাই করা তথ্যই প্রকাশ করি।
শেয়ার করুন