রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার পর পরীমনির অনুভূতি

ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনি বর্তমানে সিনেমা থেকে কিছুটা দূরে আছেন। তবে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে তার উপস্থিতি তৎপর। নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগা, আনন্দ-বেদনা—সবই তিনি নিয়মিত ভক্ত ও অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন। সম্প্রতি, অভিনেত্রীর জন্মদিন গেছে ২৪ অক্টোবর। সেই উপলক্ষ্যে পরীমনি দেশের বাইরে জন্মদিন পালন করে দেশে ফিরেছেন।

পরীমনির জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়েছিল তার জন্মদিনের চার দিন আগে। সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে জন্মদিন দেশের বাইরে উদযাপন করবেন। যেই কথা সেই কাজ—প্রায় দুই সপ্তাহের দেশের বাইরে থাকার পর, সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে অভিনেত্রীর দেওয়া তথ্য থেকে তার এই ভ্রমণ নিশ্চিত হলো।

জন্মদিনের চার দিন আগে তার টিমের সহকর্মী ও মেকআপ আর্টিস্ট অর্ক অগ্রিম কেক কাটেন, যা পরীমনি ফেসবুকে ভাগ করে ভক্তদের জানিয়ে দেন। এরপরই তিনি মালয়েশিয়ায় যান এবং সেখানে বিশেষভাবে জন্মদিন উদযাপন করেন।

পরীমনি জন্মদিন উদযাপনের জন্য ২৩ অক্টোবর মালয়েশিয়া রওনা দেন। ১০ দিনের সফরে তার সঙ্গে ছিলেন সাতজন—তার ছেলে, ছেলের ন্যানি মোবারক, ম্যানেজার ভাই তুরান, বন্ধু শাওন, প্রিয় মানুষ চঞ্চল, বরিশাইল্লা মনুজান নাইম এবং তিনি নিজে।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “আজ আমাদের বাড়ি ফেরা হলো। ১০ দিনের জন্য দেশের বাইরে এভাবে কোথাও সেলিব্রেশনের প্ল্যান এবারই প্রথম। আমরা মোট সাতজন ছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “যাওয়ার দিন হইহই করতে করতে গেলাম। সবাই কত ছবি-ভিডিও করলাম সারা পথ। ১০ দিন একসঙ্গে কত রকম নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হলো আমাদের। নতুনভাবে চিনতে পারলাম নিজেদের। দুঃখ হলো, হাসি হলো, আনন্দ হলো, আর সারাজীবন মনে রাখার মতো কিছু সুন্দর স্মৃতিও হলো আমাদের সবার জীবনে।”

পরীমনি জানিয়েছেন, “আজ থেকে একটু একটু করে সবার সঙ্গে ছবি-ভিডিও শেয়ার করব। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিতে পারিনি কারণ আমরা ঘুরতে যাওয়ার সময়টুকু সত্যি সত্যিই উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। আমি তো সিমকার্ডও কিনিনি! এর মধ্যে ছবি বা ভিডিও যা ক্যাপচার করা হয়েছে তার সব অবদান শাওনের।”

শেষে সবাইকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “সবাইকে ধন্যবাদ। আমার জীবনে তোমাদের পেয়ে আমি অনেক খুশি। ভালোবাসি সবাইকে।”

উল্লেখ্য, ২৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় লংকি আইল্যান্ডে সহকর্মীদের সঙ্গে কেক কাটেন পরীমনি। সামাজিক মাধ্যমে সে দিন নিজের শুভেচ্ছা জানান এবং লিখেন, “এই জীবন শুধু বেঁচে থাকার চেয়ে, বাঁচা জীবন উদযাপন করাই শ্রেয়।”

শেয়ার করুন