ভোলা প্রতিনিধি :
একদিকে সংবাদপত্রের পাতায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেন, অন্যদিকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে লড়ছেন ভয় ও অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে। ভোলার কালমা ইউনিয়নের সাংবাদিক মির শাহিন বিন আমির এখন এমনই এক দুঃসময় পার করছেন— যখন তার পরিবারের কাছেই চাওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা, সঙ্গে এসেছে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি।
অভিযোগ অনুযায়ী, কালমা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালাম নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি সাংবাদিক মির শাহিনের পিতার কাছে ওই টাকা দাবি করেন। স্থানীয়ভাবে তিনি আব্দুল আলী হাওলাদারের ছেলে এবং নিজেকে বিএনপি কর্মী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন বলে জানা গেছে।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কালাম তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর থেকেই পরিবারের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। “আমরা এখন ঘুমাতে পারি না, রাতে যে কোনো শব্দে চমকে উঠি,” বলেন শাহিনের এক স্বজন। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে সাংবাদিক মির শাহিন বলেন, > “আমার বাবার কাছে অন্যায়ভাবে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। না দিলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, > “আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন এবং হুমকিদাতার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত কালাম বহুদিন ধরে এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মৌখিক অভিযোগ থাকলেও ভয়ের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।
এ ঘটনায় এখন পুরো ইউনিয়নে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ বলছেন, “একজন সাংবাদিকের পরিবারের এমন অবস্থা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”— আবার কেউ দাবি করছেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এলাকায় সন্ত্রাস মাথা চাড়া দেবে।” ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারের নয়— এটি প্রতিফলন করে গ্রামীণ সমাজে ভয় ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের যে ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়, তার বাস্তব চিত্র। ভোলা জেলার সেই ছোট্ট ইউনিয়নে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে— একজন সাংবাদিকের পরিবার যদি নিরাপদ না থাকে, তবে নিরাপত্তা কার?





