৫ আগস্টের পর বদলে যাওয়া রাজনৈতিক বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের অবস্থান কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের বহু নেতা গেল বছর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আসছে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন, যেখানে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
তবে এই প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি প্রশ্ন—আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পরামর্শ দেবে নয়াদিল্লি? বিষয়টি নিয়ে সেখানে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে। এমনকি সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্নটি উত্থাপিত হয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সামনে।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে ভারতীয় সাংবাদিক ইয়েশি সেলি প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশে আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। ভারত কি সে নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আয়োজনের আহ্বান জানাবে? পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কি কোনো পরামর্শ দেবে?”
প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল আওয়ামী লীগকে নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি এবং কোনো প্রস্তাবের কথাও উল্লেখ করেননি। তিনি শুধু বলেন, “আমরা আশা করি, বাংলাদেশের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক।”





