মো ইয়াকুব আলী তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার :
আজ ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে ‘ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা’ মাস রূপে পালিত হয়, এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের উদ্যোগে দেশব্যাপী ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা ক্যাম্পেইন, “আমি বিজয়িনী, কন্যা-জায়া-জননী—আমার হাতেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরাজয়” আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেন, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মানুষকে প্রেরণ করেছেন মানবতার কল্যাণের জন্য, তাই এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই সময়োপযোগী এবং প্রশংসার দাবিদার। এজন্য তিনি জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য ঢাকা ১৭ আসনের মনোনীত প্রার্থী ডাঃ খালেদুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেইসাথে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। বক্তব্যের শেষে তিনি ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। আরও বক্তব্য রাখেন, এ আয়োজনের সহযোগী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা ১৭ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, ডা. এস, এস খালিদুজ্জামান।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ নুরুন্নিসা সিদ্দিকা, সেক্রেটারি, মহিলা বিভাগ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তিনি বাংলাদেশের নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরোও বলেন, যদি জামায়াতে ইসলামী সুযোগ পায় তাহলে এ ধরনের আয়োজন আরোও বৃহৎ পরিসরে ভবিষ্যতে করা হবে। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ’ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রতিমাসে একবার নিজ উদ্যোগে ব্রেস্ট টেস্ট করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো অনেক নারী লজ্জা ও অজ্ঞতার কারণে চিকিৎসা নিতে দেরি করেন।” তিনি জানান, এই সমস্যা দূর করতে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগ একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে নারীরা ঘরে বসেই পরীক্ষার পদ্ধতি শিখতে পারেন। ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে জাতীয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরোও বক্তব্য রাখেন, ড. হাবিবা চৌধুরি সুইট, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগ, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। শুধু ২০২২ সালেই প্রায় ১৩ হাজার নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।” তিনি জানান, এ অবস্থায় সচেতনতা বাড়াতে “আমি বিজয়িনী, কন্যা-জায়া-জননী, আমার হাতেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরাজয়” স্লোগানে একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্প শুরু করা হচ্ছে। এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী নারীরা ডাক্তারদের কাছ থেকে সরাসরি ‘সেল্ফ ব্রেস্ট টেস্ট’ পদ্ধতি শিখতে পারবেন।
ভিন্ন ধারার এ ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পে, অংশগ্রহণকারী নারীদের জন্য ফ্রি ডাক্তার কাউন্সেলিং এর পাশাপাশি ছিলো একটি ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা রিস্ট ব্যান্ড, কিউআর কোড সম্বলিত একটি উইশ কার্ড যেটি স্ক্যান করার মাধ্যমে সেল্ফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশনের প্রক্রিয়াগুলো অ্যানিমেটেড ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়। এ ছাড়াও তার মা কিংবা অন্য যে কোনো প্রিয়জনের জন্য একটি কেয়ার কার্ড দেওয়া হয়। সবশেষে একটি প্লেজড্ কার্ডে অংশগ্রহণকারী নারী এই ক্যাম্পের সাথে তার একাত্মতা প্রকাশ করে।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, ডা. নুরুন্নাহার খানম মিশু, সহকারী অধ্যাপক, গাইনী এন্ড অবস বিভাগ, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ। ডা. সামিয়া মুবিন, অধ্যাপক, সার্জিকাল অনকোলজি বিভাগ, বি, এম, ইউ। প্রফেসর, ডাঃ নাইমা মোয়াযযেম, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, মাইক্রোবায়োলজী বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ। এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী, মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।





