ঢাকায় রোববার (২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটির পঞ্চম সভা জানিয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার উদ্যোগে বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “বাস্তবায়ন ও পারস্পরিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি।
সভায় বিভিন্ন উদ্যোগ ও অগ্রগতি তুলে ধরা হয়, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
১০০ শতাংশ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘ফ্রি অব চার্জ’ আমদানিতে কোটার বিধান বাতিল, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে নীতিতে অন্তর্ভুক্ত হবে।
-
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার চালু ও বিপজ্জনক পণ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ।
-
বাংলাদেশ বিজনেস পোর্টালের দ্বিতীয় ধাপ ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে, যেখানে ২৯টি সরকারি সেবা এক প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে।
-
বাংলাদেশ ব্যাংক বন্দরের এলাকায় আরটিজিএস (রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) সেবা চালু করেছে এবং ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
-
ব্যবসায় লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ এক বছর থেকে পাঁচ বছর বৃদ্ধি।
-
বিডা মাসিক ভিত্তিতে বিনিয়োগ সংস্থার প্রকল্প তথ্য সংগ্রহ করছে, যাতে বিনিয়োগ প্রবণতা ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করা যায়।
এছাড়া, আগামী ডিসেম্বর মাসে বিডা, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তর যৌথভাবে কার্বন বাণিজ্য ও টেকসই বিনিয়োগবিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করবে।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য পরিবেশকে আরও সহায়ক করবে, ব্যয় কমাবে এবং বিনিয়োগের প্রতিযোগিতা বাড়াবে।
