বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ব্যবস্থা নিয়ে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চালাচ্ছে। তার মতে, এই পদ্ধতি চালু হলে দেশে এমন পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে—যেখানে কার্যত কোনো সরকারই গঠন করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, “এই পদ্ধতিতে যদি সংসদ সদস্য নির্বাচন করা হয়, তাহলে তা হবে জনগণের নয়, বরং দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে; এতে গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘তারেক রহমান: রাজনীতি ও নীতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন তিনি।
সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা বা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার পাঁয়তারা চলছে। “কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মূল রাজনৈতিক ইস্যু থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তথাকথিত নতুন তত্ত্বের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে,”—বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, “বাংলাদেশে ক্ষমতার একমাত্র বৈধ পরিবর্তন হতে পারে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই। বর্তমান সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে—এটাই গণতন্ত্রের পথ।”
তিনি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “আমাদের মতে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা সবচেয়ে নিরাপদ ও বাস্তবসম্মত সময়। এর পর কোনো অজুহাতে বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়। পিআর পদ্ধতি আমাদের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”





