জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “জোট বা সমঝোতা মূলত নীতিগত দিক থেকে বিবেচিত হবে। জুলাই সনদে উল্লিখিত সংস্কারমূলক দাবি যদি কোনো দল সমর্থন করে, তবে সেই দল নিয়ে জোট গঠনের বিষয়টি আমরা ভাবব।”
তিনি এই মন্তব্যগুলো করেন বুধবার (৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গিয়ে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে। সেই সময় তিনি নিহতের পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
নাহিদ বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গাজী সালাহউদ্দিন আহত হয়েছিলেন এবং ২৬ অক্টোবর তিনি মারা যান। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এমন বহু জুলাই যোদ্ধা এখনও আহত অবস্থায় আছে। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। ফলে শহীদদের সংখ্যা বেড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারকে আহ্বান জানাই, আহত এবং শহীদ পরিবারগুলোর চিকিৎসা ও সহায়তার ব্যবস্থা করুন। অনেকের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। নির্বাচনের ব্যস্ত সময়ের মধ্যে যেন এই দায়িত্ব আমরা ভুলে না যাই।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “পরবর্তী সরকার যাই আসুক, তাদের দায়িত্ব থাকবে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা। আমরা গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের পাশে আছি, তবে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমন রাজনৈতিক চাপ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জুলাই যোদ্ধাদের ওপর বিদ্যমান। সরকারকে অবশ্যই এই দায়িত্ব নিতে হবে, কারণ তাদের ত্যাগের ফলে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।”
নির্বাচন বিষয়ে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আমরা এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া। তবে যারা গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছু আসনে প্রার্থী দিচ্ছি না, যেমন—বেগম খালেদা জিয়ার আসন।”
তিনি যোগ করেন, “আজকাল নির্বাচনে যাঁদের টাকা ও প্রভাব রয়েছে, তারা নির্বাচনে আসে। আমরা এই প্রবণতাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। আমরা চাই, সংসদে সাধারণ, খেটে খাওয়া মানুষ, শিক্ষক, ইমাম ও সমাজসেবকরা প্রতিনিধিত্ব করুক।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু এবং জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি তুহিন খান।




