সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর পাওয়া গেলো মাদরাসাছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নিখোঁজের দুই দিন পর মো. আমির হামজা (১৩) নামে এক মাদরাসাছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় আমির হামজা। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। সোমবার সন্ধ্যায় আমির হামজার বাবা স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত দুইদিন ধরে পরিবার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এলাকায় মাইকিংও করেছিল।

তবে সোমবার সন্ধ্যার দিকে চর চান্দড়া গ্রামের মতিয়ার শেখের স্ত্রী বাড়ির পাশের পুকুরে হাঁস আনতে গিয়ে পানিতে ভাসমান একটি বস্তা দেখতে পান। বস্তা থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তাটি খুললে এক কিশোরের মরদেহ বেরিয়ে আসে। মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল এবং মুখে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া লাশ ডুবিয়ে রাখার উদ্দেশে বস্তার মধ্যে কিছু ইটও পাওয়া যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে আমির হামজার বাবা ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন।

নিহত আমির হামজার বাবা সায়েমউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলেকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

চান্দড়া নূরানী তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা মো. আমিনউল্লাহ বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, দ্রুত তদন্ত করে এই ঘটনার সত্য উন্মোচন করা হোক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা উদ্‌ঘাটন করতে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।

 

শেয়ার করুন