যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। যদিও আগাম ভোট প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এবং ৭ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই তাদের ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন।
নিউইয়র্ক সিটির ভোটিং সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রশাসনিকভাবে ম্যানহাটন, ব্রুকলিন, কুইন্স, ব্রঙ্কস ও স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে বিভক্ত এই শহরে মেয়র নির্বাচন একক ভোটে হয়।
জোহরান মামদানি বিভিন্ন জরিপে ৫০ শতাংশ সমর্থন পেয়ে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে আছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো, ২৫ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছেন। অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্ল্লিওয়ার ২১ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছেন।
সাবেক গভর্নর কুয়োমো প্রাইমারিতে পরাজিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি অপরাধ হ্রাস ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মধ্যপন্থী ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্ল্লিওয়া আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক ইস্যুতে প্রচারণা চালালেও, ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাট সমর্থিত শহরে তার জয় সম্ভাবনা সীমিত।
এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন। ৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন, যা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনো স্থানীয় নির্বাচনে সর্বাধিক অংশগ্রহণ। ২০২১ সালে নিউইয়র্কে চালু হয়েছে ‘র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি। এতে ভোটাররা সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রার্থীকে পছন্দক্রমে র্যাঙ্ক দিতে পারেন। কোনো প্রার্থী সরাসরি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় পছন্দের ভোট অনুযায়ী ধাপে ধাপে গণনা করা হয়।
সর্বশেষ জরিপে মামদানি ৫ শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন, তবে কুয়োমোর অংশগ্রহণ নির্বাচনের ফলাফলকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি তরুণ ও অভিবাসী ভোটাররা বেশি সক্রিয় হন, তাহলে নিউইয়র্কের রাজনীতিতে আজ প্রগতিশীল অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।
								
															



