রুবেল ইসলাম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত উপাসনাস্থল উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার,১৯ অক্টোবর সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুদ্বীপ এলাকায় উপাসনাস্থলটির নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এই উপাসনাস্থল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ হিসেবে কবি নজরুলের দর্শনকে প্রমাণ করতে পারলাম। আমরা যতদিন থাকবো, সকল ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের শুরু থেকেই উপাসনালয়ের দাবি ছিল, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে। শুরুতে কিছু প্রশাসনিক জটিলতা থাকলেও এখন আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। উপাসনাস্থলটি এখনো অসম্পূর্ণ; সময় নিয়ে সুন্দরভাবে কাজ সম্পন্ন করা হবে।” অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সনাতন ধর্মের পক্ষ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বিপ্লব দাশ, খৃষ্টান ধর্মের পক্ষ থেকে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রাবণ চিছা এবং বৌদ্ধ ধর্মের পক্ষ থেকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সুবেশ চাকমা।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনাস্থল নির্মাণ করে সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ও চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় ও দপ্তর দপ্তর প্রধান, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, পাশাপাশি নির্মিত তিনটি ভবনের একটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের, একটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের, এবং একটি খৃষ্ঠান ধর্মাবলম্বীদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে।





