২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। রবিবার (২ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের প্রথম টিজার। ৪৮ সেকেন্ডের এই ভিডিও প্রকাশের মধ্য দিয়েই নির্বাচনী প্রচারণার সূচনা হয়।
ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল—“জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ এর ক্যাম্পেইন শুরু হলো আজ।” টিজারের কেন্দ্রীয় বার্তায় উঠে এসেছে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিটির সমন্বয়ক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিকের আহ্বান—“ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে সবাইকে অংশ নিতে হবে।”
টিজারে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা সবাই ভোট দিতে যাবো। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকানা ফিরে পাবে জনগণ।”
রবিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভিডিওর শুরুতেই দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে একটি বক্তব্য দিতে— “আমি ভারতে বলেছি, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে যা যা করার দরকার, সেটা ভারত সরকারকে করার অনুরোধ করেছি।”
তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই বক্তব্য এক সময় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই বিতর্কিত উক্তি দিয়েই শুরু হয়েছে এবারের নির্বাচনী টিজার।
ভিডিওটিতে পরবর্তীতে দেখা যায় ড. সুবায়েল বিন রফিককে বলতে—
“আমরা অতীতের অন্ধকার অধ্যায় পেছনে ফেলে এখন ইতিহাসের এক মোড় ঘোরানো মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। এই নির্বাচনই নির্ধারণ করবে দেশের ভবিষ্যৎ। সময় এসেছে—নিজের দেশের চাবি নিজের হাতে তুলে নেওয়ার।” ৪৮ সেকেন্ডের এই সংক্ষিপ্ত টিজারেই ফুটে উঠেছে ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচারণার মূল বার্তা—‘দেশের মালিক জনগণ’।





