আবারও আলোচনায় ফিরলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও মডেল আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। একাধিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচিত এই তরুণ এবারও যাচ্ছেন ভোটের লড়াইয়ে। তবে এবারের মঞ্চ বগুড়া নয়— ঢাকা-১৭ আসন।
সোমবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য নয়) গণমাধ্যমে হিরো আলম জানান, তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও কয়েকটি রাজনৈতিক দল তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
“হিরো আলম বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া আমার কাছে শুধু জয়ের বিষয় না, এটা একটা প্রতিবাদের মাধ্যমও,”
।
“দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক—এটাই সবার প্রত্যাশা। আমি চাই মানুষ উৎসবের মতো ভোট দিতে আসুক। আমি ১০০ ভোট পেলেও সমস্যা নেই, তবুও নির্বাচনটা হোক।”
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল তাকে মনোনয়ন প্রস্তাব দিয়েছে। “ব্যাটে-বলে মিললে দলে যাবো, না হলে স্বতন্ত্রভাবে লড়ব,” মন্তব্য করেন তিনি।
নিজেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন,
“আমি সংসদে যেতে চাই গরিব, প্রান্তিক আর অবহেলিত মানুষদের প্রতিনিধি হয়ে। দেশের প্রকৃত শক্তি ওই পরিশ্রমী মানুষের মধ্যেই আছে, যারা প্রতিদিন কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে।”
ঢাকা-১৭ আসনটি ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, মহাখালী ও মিরপুরের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। আসনে মোট ভোটার প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার। এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামি ও আরও কয়েকটি দলের প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। যাচাই-বাছাইয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল হলেও আদালতের আদেশে প্রতীক ফিরে পান। নির্বাচনের দিন কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
পরবর্তীতে ঢাকা-১৭ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও অংশ নেন হিরো আলম। সেই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে তার ওপর হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলেও নিন্দার জন্ম দেয়; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৩ দেশের যৌথ বিবৃতিতেও বিষয়টি উঠে আসে।





