রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ‘ফিলিস্তিনি ম্যান্ডেলা’ বারঘৌতির মুক্তির আশা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত কোবার গ্রাম এই মুহূর্তে উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত। দীর্ঘদিন ধরে বন্দি মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির ব্যাপারে আশাব্যঞ্জক চিন্তাভাবনা চলছে। ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ করায় তার ভূমিকার জন্য পরিচিত বারঘৌতি। তাকে ফিলিস্তিনি ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’ বলা হয়।

তার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আল-বারঘৌতি জানিয়েছেন, তিনি ‘৮০ শতাংশ নিশ্চিত’ যে মারওয়ান বারঘৌতিকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে। গ্রামবাসী ও যুবকরাও এই বিষয়ে আশাব্যঞ্জক।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টাইম ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ইসরায়েলকে তিনি মারওয়ান বারঘৌতিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে বলতে পারেন, যাতে তিনি গাজায় প্রশাসনিক নেতৃত্ব দিতে পারেন। এ কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মুক্তির আশায় উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

বারঘৌতির বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযোগ রয়েছে, তিনি আল-আকসা শহীদ ব্রিগেড তৈরি করেছেন। ২০০২ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচার চলাকালীন তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি ফাতাহ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষায় এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের পক্ষপাতিত্ব করেছেন।

বারঘৌতির স্ত্রী ফাদওয়া বারঘৌতি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো রাজনৈতিক কারণে আনা হয়েছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা দিয়েছেন, ‘‘মারওয়ান বারঘৌতি এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি আনার জন্য উপযুক্ত অংশীদার।’

জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৬৬ বছর বয়সী বারঘৌতি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তার বয়স মাত্র ১৫ বছর।

ইসরায়েলের অনেকেই তার মুক্তির বিপক্ষে, কারণ অভিযোগ আছে যে পাঁচজন হত্যায় তার হাত রয়েছে। তবে অনেকে মনে করেন, তার মুক্তি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলিকে একত্রিত করা এবং শান্তি আনার সর্বোত্তম উপায় হতে পারে।

শেয়ার করুন