জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। একই ঘটনায়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। অভিযোগ গঠনের সময় ইনু নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ট্রাইব্যুনালের প্রতি ন্যায্য বিচার করার আহ্বান জানান।
হানিফসহ চার আসামির মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী এবং কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পলাতক। তাদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
এদিকে, জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার মামলায় সিআইডির দুই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রোকনুজ্জামান ও শাহেদ জোবায়ের লরেন্স সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের দেওয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী, মামলায় উদ্ধারকৃত আলামত যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
ইনু অভিযোগ শুনে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, তিনি কিছু অভিযোগ শুনেছেন, কিছু শুনতে পাননি। অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন ইনু, যা ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করেনি। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং আইন উপদেষ্টার মতে তাঁর বিরুদ্ধে ‘গায়েবি মামলা’ হয়েছে। ইনু জোর দিয়ে বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং আশা করি ট্রাইব্যুনাল ন্যায্য সিদ্ধান্ত দেবেন।” এ মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর।
হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলেও পলাতক থাকার কারণে ট্রাইব্যুনালে বিস্তারিত অভিযোগপত্র পড়া হয়নি। ট্রাইব্যুনাল জানায়, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র পঠিত হিসেবে গণ্য হবে। এই মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন হবে ২৫ নভেম্বর।





