সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জামায়াতের নির্বাচনী প্রিপারেশন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে বিএনপির অবস্থান: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমাদের তিনটি জায়গায় ঘোরতর আপত্তি আছে। প্রথমত, যেই জুলাই সনদে আমরা স্বাক্ষর করেছি, সেদিন আমাদের পুরো ডকুমেন্টটি দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ঐকমত্য কমিশনে যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে এবং একমত হয়েছে, সেগুলোর প্রতিফলন মূল সনদে দেখা যাচ্ছে না। এর দুটি স্পেসিফিক উদাহরণ দলের মহাসচিব ক্লারিফাই করেছেন।

তিনি আরও জানান, ৪(ক) সংবিধানে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অফিস-আদালতে না রাখার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছিল। একইভাবে সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংক্রান্ত বিষয়েও দলগুলো একমত হয়েছিল। কিন্তু মূল সনদে এই বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়নি।

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করে নোট অব ডিসেন্ট থেকে বিএনপি সরে আসতে পারে এমন ধারণা সত্য নয়। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে তিনি বলেন, ২৭০ দিনের মধ্যে পরবর্তী পার্লামেন্ট, যা সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে, সেখানেও বিএনপির আপত্তি আছে। সংবিধান সংস্কার পরিষদের বিষয়টি ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা হয়নি এবং দলগুলো একমত হয়নি।

তিনি বলেন, “২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো দেশের ইতিহাসে এমন হয়নি। সংবিধান বা সুপ্রিম লে পরিবর্তন করতে হলে একটি নির্দিষ্ট প্রসিডিউর ফলো করতে হয়।”

গণভোট বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী গণভোট আয়োজনের জন্য দু’মাস সময় প্রয়োজন। ডিসেম্বরের ১৭ তারিখের আগে এটি সম্ভব নয়। এছাড়া অতিরিক্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। বিএনপি গণভোট এবং সময় নির্ধারণ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছে।

রুমিন ফারহানা জামায়াতের নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “জামায়াতের সকল রাজনৈতিক দল এত আগে থেকে এত ভালো প্রিপারেশন করে না। তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং ফজরের ওয়াক্ত থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এরপরও রাত পর্যন্ত তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। ১০-১২ মাস ধরে তারা এই স্ট্রাটেজি ফলো করছে। এই প্রিপারেশন অন্য দলকে নির্বাচন ডিলে করার সুবিধা নিতে সাহায্য করছে, যা সঠিক নয়।”

শেয়ার করুন