লিভারপুলের সেই ম্যাচ সামনে রেখে হলেও কোচ জাবি আলোনসো ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তার সেরা একাদশই মাঠে নামান। বার্সেলোনার বিপক্ষে বদলি হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবার খেলেছেন তার স্বাভাবিক অবস্থান—বাম প্রান্তে।
অন্যদিকে, টানা ছয় ম্যাচে জয়ের দেখা না পাওয়া ভ্যালেন্সিয়া শুরুতে রক্ষণভিত্তিক ফুটবলে ভরসা রাখে। কিছুক্ষণ পর্যন্ত তাদের কৌশল সফলও ছিল। কিন্তু ১৯তম মিনিটে খেলার মোড় ঘুরে যায়। ভিএআর পর্যালোচনায় এদের মিলিতাওয়ের হেড সিজার তার্রেগার হাতে লাগলে রিয়াল পায় পেনাল্টির সুযোগ।

গত সপ্তাহে বার্সেলোনার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করলেও এবার নিখুঁতভাবে বল পাঠান গোলরক্ষক হুলেন আগিরেজাবালার বিপরীত কোণে কিলিয়ান এমবাপ্পে। মৌসুমে এটি ছিল তার ১২তম গোল, যা তাকে স্প্যানিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে ধরে রাখে।
এর কিছু পরেই আসে তার ১৩তম গোল। আর্দা গুলারের ডান দিক থেকে তোলা ক্রসটি এমবাপ্পে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়ান। ম্যাচের আগে তিনি দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করেন গত মৌসুমে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে পাওয়া ‘গোল্ডেন বুট’ ট্রফিটি।
প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারতেন ভিনিসিয়ুস, কিন্তু মাঝারি মানের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন আগিরেজাবালা। থিয়েরি কোরেইয়ার ফাউলে রিয়াল আবারও পায় পেনাল্টি। ভিনিসিয়ুস চেয়েছিলেন এমবাপ্পে নিক, তবে শেষ পর্যন্ত জুড বেলিংহাম দায়িত্ব নেন এবং ঠাণ্ডা মাথায় নিচের কোনায় বল পাঠিয়ে গোল করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। এর আগে জুভেন্টাস ও বার্সেলোনার বিপক্ষেও গোল করেছিলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি কিছুটা কমে আসে। তবে ৮২তম মিনিটে আলভারো কারেরাস বাম দিক থেকে নেওয়া চমৎকার এক শটে জালের দেখা পান। তার কিছু আগে আলোনসো ভিনিসিয়ুসকে বদলি করে রদ্রিগোকে মাঠে নামান, এবার অবশ্য কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করেননি ভিনিসিয়ুস।
এই জয়ের ফলে রিয়াল আরও স্বস্তিতে পৌঁছে গেছে। ম্যাচের আগে তারা বার্সেলোনার চেয়ে ৫ ও ভিয়ারিয়ালের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। এখন ১১ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে মাদ্রিদ দলটি বার্সার চেয়ে ৮ এবং ভিয়ারিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।





