আরোজ ফারুক, কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলার জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার আন্তজার্তিক শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হুদা চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী।
বক্তব্যে তাঁরা বলেন, ‘এই মেলা পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি অর্থনীতিতে চাকা সচল করবে। এখানে আগত পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মেলা ঘিরে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে ‘।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তার আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাফর, মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ আবু, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম লিটনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের আয়োজন জুড়ে থাকছে ব্যতিক্রম। মেলা ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে সবকিছু। এবারও যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা মেলার কর্মযজ্ঞ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মেলার প্রবেশপথে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাবে রাজকীয়ভাবে নির্মিত নান্দনিক বিশাল গেইট। এবার মেলায় থাকছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ১৫০টি বিভিন্ন স্টল। থাকবে দেশীয় প্রসিদ্ধ বিভিন্ন কোম্পানীর ২২টি প্যাভিলিয়ন। তারমধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, সাধারণ প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার স্টল, সাধারণ স্টল, শিশুদের বিনোদনমূলক রাইডস, খাবারের দোকানসহ জমজমাট আয়োজন দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে।
কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সানাহউল্লাহ আবু ও সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম লিটন জানান, এবার অনেক ক্ষেত্রে মেলায় বেশ ভিন্নতা এসেছে। চারপাশে স্থাপন করা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত কক্সবাজারের শহীদদের স্মৃতি ফলক। এছাড়া টুইস্ট, লেম্ববাম্বু, ডিজিটাল নাগরদোলা, ইলেকিট্রক নৌকা, কার বাম্পার, ওয়াটার বোট, ওয়াটার বল, ডিজিটাল ট্রেন, জাম্পিং স্লিপার, কার রেসিংসহ শিশুদের জন্য মেলায় বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনা হয়েছে উন্নতমানের ব্যতিক্রমী হরেক রকমের রাইডস।
মেলায় এসেছে আরএফএল, ভিশন, ওয়াকার, কিয়াম, ইটালিয়ানো, কম্পী, হোম টেক্সটাইল, ইরানী গোল্ডসহ উন্নতমানের সব ব্র্যান্ড। পছন্দের কাপড় যেমন কিনতে পারবেন, তেমনি পায়ের জন্য আরামদায়ক ওয়াকার ব্র্যান্ডের সব ধরণের জুতোও রয়েছে। মেরিন সিটি মেগামার্টের বিশাল স্টলে মিলবে প্রয়োজনীয় সবকিছু। মহিলাদের কসমেটিকস ও কাপড়ের বাহারী সামগ্রি নিয়ে স্টল খুলেছে অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন জোন। নারীদের উন্নতমানের সাশ্রয়ীমূল্যে সবকিছু থাকছে এই স্টলে। মেলায় এবার খাবারেও এসেছে ভিন্নতা। দই ফুসকা এবারের বিশেষ আকর্ষণ। মেলার মাঠে গেলে সিলেটের বিখ্যাত রূহানী আচার সবাইকে কাছে টানবেই। কারণ স্বাদে আর রুচিতে বেশ ব্যতিক্রম এই আচার।
চলবে জাদু প্রদর্শনী। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গনে তৈরী করা হয়েছে অস্থায়ী নামাজ আদায় কেন্দ্র ও শৌচাগার।





