জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, দলের অটল অবস্থান অনুযায়ী, এনসিপি সবসময় শাপলার প্রতীককে কেন্দ্র করে নির্বাচন করবে। শাপলার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না এবং এই বিষয়ে দল আপসহীন অবস্থানে রয়েছে।
এই মন্তব্য তিনি করেছেন “জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচনের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে। সেমিনারটি বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আয়োজনের দায়িত্বে ছিল দলের যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি।
সেমিনারের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, আজ নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীকের তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় কিছু প্রতীক সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে, যার মধ্যে শাপলা কলিও রয়েছে। তবে এনসিপি দীর্ঘদিন ধরে শাপলাকে দলীয় প্রতীক হিসেবে দাবি করে আসছিল।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তালিকায় দ্রুত শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং এনসিপির অধিকার নিশ্চিত করুন। ইতিমধ্যেই আমাদের অনেক সময় নষ্ট করা হয়েছে, যেন বিএনপি ও জামায়াত সুবিধা পান এবং জনগণের শক্তিকে কমিয়ে আনা যায়। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “যদি এটি না হয়, তাহলে হয়তো আমাদের বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদ করতে হবে এবং পদত্যাগের দাবি জানাতে হবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, “আমরা চাই শাপলা প্রতীকটি যেন দলীয় মার্কা হিসেবে থাকবে। কিন্তু এখন এটি গেজেটে ‘শাপলা কলি’ হিসেব প্রকাশিত হয়েছে। এটি ইসি আমাদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। কোনো আইনি বা সাংবিধানিক কারণ ছাড়া এটি করা হয়েছে। এই কমিশনের পুনর্গঠন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
