রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আসামে ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া নিয়ে বিতর্ক

আসামের শ্রীভূমি জেলায় কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়ায় বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে। রাজ্যের বিজেপি ইউনিট কংগ্রেসকে বাংলাদেশপ্রীতিতে আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছে।

‘আমার সোনার বাংলা’ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদে। ব্রিটিশ শাসনের বিভাজন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এটি ছিল এক প্রতিবাদের গান, যা পরে বাংলার মানুষের ঐক্য ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে ওঠে।

১৯১১ সালে ব্রিটিশরা বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। প্রায় সাত দশক পর, ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পর এই গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার মতো বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে এই গানটি আজও অত্যন্ত জনপ্রিয়।

ভারতের বহু জায়গায়, এমনকি দিল্লির কিছু বাংলা রেস্টুরেন্টেও ‘আমার সোনার বাংলা’ নাম ব্যবহার করা হয়। তাই আসামের সীমান্তবর্তী বারাক উপত্যকার শ্রীভূমি জেলায় (পূর্ব নাম করিমগঞ্জ), যেখানে প্রচুর বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বাস করেন, সেখানে এই গান গাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

তবু বিজেপি এই ঘটনাকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আসামের মন্ত্রী অশোক সিংহল লিখেছেন, “যে দেশ উত্তর-পূর্বকে আলাদা করতে চায়, সেই দেশের জাতীয় সংগীত কংগ্রেসের সভায় গাওয়া হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে তারা আসামে অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে ভোটব্যাংকের জন্য।”

গত বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন এবং ভারতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

শেয়ার করুন